গণিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় টিপস্
গণিত বিষয়ে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে তোমাদের অবশ্যই পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। তবু যে বিষয়গুলো মেনে চললে গণিতে নিশ্চিত ভালো ফল করা সম্ভব সে বিষয়েই আলোচনা করছি।
গণিত বিষয়ে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার প্রধান শর্ত হচ্ছে
নিয়মিত অনুশীলন। অবশ্যই সঠিক নিয়মে যথাযথভাবে অঙ্ক করতে হবে। অঙ্ক করতে
গিয়ে খুব সাধারণ কিছু ভুল শিক্ষার্থীরা
প্রায়ই করে থাকে। যেমন : বীজগণিতে +/- ভুল করা, প্রয়োজনীয় স্থানে বন্ধনী না দেওয়া, যথাযথ স্থানে একক ব্যবহার না করা ইত্যাদি। তাই
অঙ্কে ভালো করতে চাইলে
অনুশীলনের মাধ্যমে এ ভুলগুলো দূর করতেই হবে।
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ করে একটি সমাপ্ত রেখা টেনে
পরবর্তী প্রশ্নের
উত্তর শুরু করতে হবে।
নিয়মিত অনুশীলন করলে গণিতকে জটিল কিছু মনে হবে না। পরীক্ষার
সময় প্রথমে বীজগণিত
বা ত্রিকোণমিতি, এরপর
পর্যায়ক্রমে পরিমিতি, উপপাদ্য, সম্পাদ্য এবং জ্যামিতির
অনুশীলন উত্তর করবে।
সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কে পূর্ণ নম্বর
পেতে হলে অবশ্যই
কাটাকাটি করা যাবেনা। সঠিক স্থানে সঠিক ভাবে স্কয়ার চিহ্ন,
= চিহ্ন এবং পরিমিতিতে যথাস্থানে
প্রায় এবং সঠিক একক যেমনঃ (সে.মি. বা মিটার ইত্যাদি) অবশ্যই লিখতে হবে।
পরিচ্ছন্ন খাতা ও সঠিকভাবে করা অঙ্ক অবশ্যই একজন পরীক্ষার্থীকে পূর্ণ নম্বরের
নিশ্চয়তা দিতে পারে। যা তোমাকে A+ পেতে
সাহায্য করবে।
জ্যামিতির সম্পাদ্যের চিত্র নিখুঁত ও মাপে সঠিক হতে হবে। তবে উপপাদ্যের চিত্রও
দৃষ্টিকটু হলে চলবে না। এখানে পেন্সিলটি কাটার দিয়ে সরু করে নেবে। জ্যামিতির উত্তর দেওয়ার সময় খাতার বাঁ পৃষ্ঠা থেকে লেখা শুরু করবে।
পরিমিতির অঙ্কে প্রয়োজনে চিত্র দেওয়া যেতে পারে। তবে
সবক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক
নয়। যেখানে চিত্র প্রয়োজন, সেখানে সঠিক চিত্রসহ প্রয়োজনীয় একক ব্যবহারে সতর্ক থেকে
যথাযথভাবে অঙ্ক করবে। না হলে নম্বর কাটা যেতে পারে।
বীজগণিতের মতো ত্রিকোণমিতির সুত্রগুলো ভাল ভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন ভুল না হয়।
আসা করি এই নিয়মগুল ভাল ভাবে আয়ত্ত করলে আসা করি
পরিক্ষাই ভাল ফল করবে। তোমাদের জন্য আমার দোয়া ও শুভ কামনা রইল।
মহি উদ্দীন
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.